January 12, 2025, 7:58 pm

সংবাদ শিরোনাম

মাদারীপুরে পানির অভাবে সোনালী আশ পাট নিয়ে বিপাকে কৃষক।

কায়কোবাদ শামীম মাদারীপুর থেকে। 
মাদারীপুর জেলার প্রধান ফসলের মধ্যে পাট অন্যতম এই জেলার মাটি পাট চাষের জন্য অত্যন্ত উপযোগী হওয়ায় প্রতি বছর এই জেলায় ব্যপক আকারে পাট চাষ করা হয়, প্রতি বছরের মতো এ বছর ও পাট চাষ করে এই জেলার কৃষকেরা, কিন্তু প্রকৃতির বৈরী আচরণের জন্য  ব্যপক ক্ষতির সম্মুখীন এই জেলার কৃষকরা। পাট চাষের মৌসুমে অতি খরার কারনে দুরথেকে সেচ মেশিনের সাহায্যে পানি এনে জমি ভিজিয়ে পাট বীজ বপন করে কৃষকরা, সাথে ছিল অতিরিক্ত সার ও কীটনাশকের খরচ। বৈশাখ মাসের শেষের দিকে বৃষ্টি হলে স্বপ্ন দেখা শুরু করে  কৃষকরা, কিন্তু আষাঢ় শ্রাবণ মাসে পর্যাপ্ত পরিমাণের  বৃষ্টি না হওয়ায় খাল ও বিলে কোন পানি নেই, এখন কৃষকরা পাট জাগ দিতে পারছেনা, ফলে পাট কেটে ভ্যান গাড়িতে করে অন্যত্র ছোট ছোট ডোবা নালায় পাট জাগ দিচ্ছে কৃষকরা এতে করে ডোবা নালার পানি যেমন  দূষিত হচ্ছে সাথে পাটের গুনাগুন নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
শিকার মঙ্গল ইউনিয়নের ভবানিপুর গ্রামের পাট চাষি এসকানদার মৃধা বলেন, আমি তিন বিঘা জনিতে পাট চাষ করেছি এখন পাট কাইটা পানির অভাবে পাট জাগ দিতে পারছিনা। একই গ্রামের ফিরোজ মৃধা বলেন, আমি আরাই বিঘা জমিতে পাট চাষ করেছি এখন  পাট নিয়ে বিপদে আছি পাট কাটতে প্রতি বদলাকে পাঁচশো টাকা করে দিতে হয় এরপরে ভ্যান গাড়ি ভাড়া করে অন্য জায়গায় নিয়ে পাট জাগ দিতে হবে, পাটের যে দাম তাতে আমাদের অনেক বড় ক্ষতির মূখে পড়তে হচ্ছে তাই সরকার যদি পাটের ন্যায্য দাম নির্ধারণ করে দিত তাহলে ভালো হতো।কালকিনি  উপজেলা  কৃষি কমকর্তা মিল্টন বিশ্বাস বলেন, এ বছর বৃষ্টি কম হওয়ার পাট চাষিরা ব্যপক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে  এটি প্রকৃতিক দূর্যোগ  এখানে করো হাত নেই, কৃষকদের  সরকারি ভাবে সহযোগিতার কোন  সুযোগ আমাদের হাতে নেই।
Share Button

     এ জাতীয় আরো খবর